এবার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ঠেকাতে বাজার মনিটরিংয়ে বেরিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরিচ্ছন্নতা অভিযানের পর এবার নোয়াখালীর বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন কাঁচাবাজারসহ অন্য বাজারগুলো মনিটরিং করেন তারা।
এদিকে সরেজমিনে জেলা শহরের পৌর বাজারে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা কাঁচাবাজার, মাছ বাজার, মাংসের বাজারে মূল্যতালিকা দেখছেন। তালিকা অনুযায়ী ঠিক দামে বিক্রি হচ্ছে কিনা তাও দেখেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বাজারের সব বিক্রেতাকে বলে আসেন তারা যেন কোনো ধরনের চাঁদাবাজি না করেন, নিজেরাও যেন কাউকে চাঁদা না দেন।
এ ছাড়া অযথা দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে না ফেলারও আহ্বান জানান তারা। এ সময় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য পাইকারি বাজারের সিন্ডিকেটকে দায়ী করেন বিক্রেতারা। এ ছাড়া চিনি স্টক করে রাখা, মাছ ও মুরগির ওজনে কারচুপি, বাজারে চাঁদাবাজি এবং রাস্তার ওপর দোকানপাট, সিএনজিচালিত অটোস্ট্যান্ড পর্যবেক্ষণ করা হয়।
এ বিষয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লাই লাতুল জান্নাত বলেন, সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় ভোগান্তির জায়গা হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। এইজন্যই আমরা নোয়াখালীর পৌরবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে মনিটরিংয়ে যাই। আমরা আড়তে, পাইকারি-খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে দ্রব্যের দাম নিয়ে কথা বলি। উনারা আমাদের জানিয়েছেন উনারা এখন থেকে সীমিত মুনাফায় বিক্রি করবেন।
তিনি আরও বলেন, মূল্য নির্ধারণ ও সিন্ডিকেট মোকাবিলায় আমরা সদা তৎপর। সেজন্য বাজারের ক্রেতাদের এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করি। আমরা তাদের বলেছি কেউ যদি ক্ষমতার প্রভাব দেখানোর চেষ্টা করে তাহলে যেন আমাদের জানায়। ব্যবসায়ী, ক্রেতা, বিক্রেতারা এই ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন।